
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের সূত্রপাত করা ছাত্রনেতৃত্বের জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্রকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী। ‘ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের পর তাতে কী থাকছে জেনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে বলে জানিয়েছে দলটি।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ছাত্রনেতৃত্ব দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। তারা রক্ত দিয়েছে। দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে। দেশ ও জাতি গঠনে তাদের ইতিবাচক ভূমিকাকে জামায়াত স্বাগত জানায়।
অভ্যুত্থানের সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্মসূচিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাদের ভূমিকা পরবর্তী সময়ে প্রকাশ হওয়ায় জামায়াতের সঙ্গে তুলনামূলক ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাদের। তবে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে তা স্বীকার করেনি।
অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক দল গঠনের তৎপরতায় বিএনপি সন্দেহ দেখালেও জামায়াতকে সমর্থন করতে দেখা যাচ্ছে। ছাত্রনেতৃত্ব যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে, এর সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সমঝোতা হতে পারে, এমন গুঞ্জনও রয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত দুই যুগ জোট শরিক ছিল। ২০২২ সালে সমঝোতার ভিত্তিতে জোট ভাঙলেও পরবর্তী সময়ে যুগপৎ আন্দোলন করে। চলতি বছরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আবার দূরে সরে যায়। তবে দুটি দলের নেতাকর্মীরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সর্বাত্মকভাবে অংশ নেন। যদিও হাসিনার পতনের পর বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং বাগযুদ্ধ দেখা যাচ্ছে।’
জামায়াতের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা রাজনৈতিক দল তৈরি করতে পারলে, তা ইতিবাচক হবে ভারসাম্য তৈরিতে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা হবে কিনা, তা নির্বাচনকালীন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। তবে ছাত্রদের দল শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক শক্তি হতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
শিবিরের সদস্য সম্মেলন
আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিবিরের বার্ষিক সদস্য সম্মেলন হবে। এতে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এ সম্মেলন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। তবে শিবিরের প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আবদুল্লাহ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধীদের কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। সারাদেশ থেকে শিবিরের সাত হাজারের মতো সদস্য সম্মেলনে যোগ দেবেন।’