নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় রাজধানীর চাঁনখারপুলে শহীদ আনাসসহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্তে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির তৎকালীন যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বলেও জানা গেছে।'
তাজুল ইসলাম বলেন, অপরাধের ঘটনার সময়কাল ছিল ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট। ৯০ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার রয়েছে তারা হলেন- ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন। তদন্তে উঠে এসেছে, পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন অথবা তা তত্ত্বাবধান করেছেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, দুটি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট ও ৬টি মৃত্যু সনদ।'