
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ বলেছেন, ছাত্র গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন এবং গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনে যারা নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছেন, গুম খুন হয়েছেন সেই সকল বীর শহীদদের এবং নিপীড়িত নিষ্পেষিত মানুষদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলাই হবে আমাদের নতুন সংগ্রামের অভিযাত্রা।
বুধবার ( ৬ আগষ্ট) বিকালে সিরাজগঞ্জের পৌর ভাসানী মিলনায়তন চত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে জেলা বিএনপির বিজয় মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমানা মাহমুদ এইসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম খানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে শত শহীদের রক্তের সিঁড়ি ডিঙিয়ে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বাংলাদেশকে আর কখনোই আধিপত্যপাতের তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত করতে হেওয়া হবে না, শহীদের রক্তস্নাত রাজপথে যে ফ্যাসিবাদী গণহত্যাকারীর পতন হয়েছে, বাংলাদেশে আর কোন গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ সুইট ও আলমগীর আলম,শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহিদ আলম।
সমাবেশে শহর বিএনপির ও সদর উপজেলা বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীর মিছিল করে শ্লোগান দিয়ে হাতে রংবেরঙের ব্যানার ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও ধানের শীষ হাতে নিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে সমাবেশ যোগ দেন।
সমাবেশ শেষে ভাসানী মিলনায়তন চত্বর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে বিশাল বিজয় মিছিল বের হয়। বিজিয় মিছিলটি ইবি রোড, ইলিয়ট ব্রিজ (বড়পুল) এসএস রোড হয়ে বাজার স্টেশন রোডস্থ স্বাধীনতা স্কয়ারে যেয়ে শেষ হয়।