নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই অভ্যুথানে কেবলমাত্র ছাত্র জনতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, বৈশ্বিক চাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করার পাশাপাশি আন্দোলনরত জনসাধারণের প্রতি নমনীয় থাকার জন্য হুমকী দিয়েছিলো জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (বিবিসি), একটি সাক্ষাৎকারের বরাতদিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন স্যাকুরের উপস্থাপনায় ‘বিবিসি হার্ডটক’- অনুষ্ঠানে ভলকার তুর্ক জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভ্যুথানে যখন সাধারণ মানুষের প্রতি মানবতাবিরোধী আগ্রাসনের চুড়ান্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে হাসিনা সরকার শক্তি ব্যায় করছিলেন, ঠিক তখনই ছাত্র ও সাধারণ নাগরিকের উপর সেনাবাহিনীকে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত করা হয়। ধরনা করা হচ্ছিলো, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে শক্তিব্যায় করে আন্দোলন দমন ও সাধারণ নাগরিকদের পীড়নের দিকে হাটছিলো শেখ হাসিনা সরকার। যার মাধ্যমে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি একটি দূর্যোগ নেমে আসার সম্ভাবণা ছিলো।'
সেখান থেকে পুরো বাহিনীকে পূর্নাঙ্গ শান্তিরক্ষার কাজে নিযুক্ত হবার পাশাপাশি জনসাধারণের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একজন কমিশনার হিসেবে আমি আমার সর্বচ্চো পেশাদারিত্ব ব্যায় করেছি। এমনকি সতর্কবার্তা দেবার পাশাপাশি শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত কিংবা বাতিল হয়ে যেতে পারে এমন ইঙ্গীতও প্রদান করেছি। যার ফলে সেনাকর্তৃক ক্ষয়ক্ষতিহীন একটি সফল অভ্যুথানের পাশাপাশি ড. ইউনুস সেখানে একটি অন্তর্বর্তীকলীন সরকারের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। যেটাকে আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার একটি সফল উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে, ভলকার তুর্ক মধ্যপ্রাচ্য এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশকয়েকটি দেশে মানবাধিকার কাউন্সিলের সফল মনিটরিং এবং এক্সিকিউটিং পলিসির বিষয়ে আলোচনা কালে এসব তথ্য তুলে ধরেন।'