
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শারমিন আক্তার জাহানের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদের পরিবারকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ—৫ আগস্ট জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, বসার জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিক মূল্যায়নও করা হয়নি।
শহীদ সালাউদ্দিন সুমনের সহধর্মিণী অভিযোগ করে বলেন, অসুস্থতা (ডেঙ্গু পজিটিভ) থাকা সত্ত্বেও তিনি ঢাকা থেকে নড়াইলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কিন্তু শুরুতে তাকে পিছনের দিকে বসানো হয়। পরে এক জুলাই আন্দোলন অংশগ্রহণকারীর সহায়তায় সামনে বসার সুযোগ পেলেও সেটি ছিল কর্নারে, যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ছিল না।
তিনি আরও বলেন, “নড়াইলের মাত্র দুটি শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, কিন্তু আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার সঙ্গে থাকা আরেক শহীদের সহধর্মিণী ও তার শিশুকেও কোনো প্রকার মূল্যায়ন করা হয়নি। ডিসি মহোদয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় বের করেননি।”
এ সময় তিনি শহীদ পরিবারের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন ও শিশুদের জন্য প্রতীকী উপহার প্রদানের মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নড়াইলের দুইজন শহীদ হন—সালাউদ্দিন সুমন ও মো. রবিউল ইসলাম। সালাউদ্দিন সুমন লোহাগড়া উপজেলার শিয়রবর গ্রামের বাসিন্দা, যিনি ১৯ জুলাই ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীতে গুলিতে নিহত হন। মো. রবিউল ইসলাম নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা, যিনি ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরায় প্রাণ হারান।