নিজস্ব প্রতিবেদক: টঙ্গীতে জোর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্দলভি অনুসারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাদ অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। জুবায়ের অনুসারীদের উস্কানিতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে সাদপন্থিরা।
বুধবার ইজতেমা ময়দানে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাদ অনুসারী মুয়াজ বিন নূর। এসময় সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েমসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে নূর বলেন, সারাদেশ থেকে আমাদের সাথীরা ইজতেমা ময়দানের তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়। রাত ২টার পর ইজতেমা ময়দান থেকে জুবায়ের অনুসারীরা মশাল হাতে নিয়ে আমাদের সাথীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর জুবায়েরপন্থিরা ময়দান ছেড়ে গেলে আমাদের সাথীরা ময়দানে প্রবেশ করেন। বর্তমানে আমাদের এক লাখ সাথী ময়দানে আছে এবং ময়দানের পুরো নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে রয়েছে। সংঘর্ষে হতাহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সঠিক সংখ্যা বলতে সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদেরকে ডিয়া বাড়ি মাঠে জোড় ইজতেমা করতে বলেছিল। আমরা সেখানে করতে পারব না কারণ লোকসংখ্যার তুলনায় সেখানে জায়গা কম। তাই আজ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ছিল। এই আলোচনায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ময়দানে আসতাম। কিন্তু গতরাতে জুবায়েরপন্থিদের উস্কানিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে ময়দান আমাদের কাছে চলে আসে।
সাদ অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমাদের তিন জন সাথী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহত ও নিহতের সঠিক সংখ্যা পরে জানানো হবে।'
এদিকে জুবায়ের গ্রুপের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, আমাদের তিনজন সাথী মারা গেছেন।
তবে হাসপাতাল সূত্রে তিনজন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক বাচ্চু মিয়া (৭০)। ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০), আরেকজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)। তবে দুই পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে নিহতের সংখ্যা ৬ জন হলেও ৩ জনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।'
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকার বেড়াইদ।
এদিকে ইজতেমা ময়দান এখন সাদপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ মাঠ পর্যায়ের সব বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য মোতায়েন আছে।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.