
ডেস্ক রিপোর্ট: ইন্ডিগোর দিল্লি-শ্রীনগর ফ্লাইটের একজন পাইলট, যিনি বুধবার আকস্মিক শিলাবৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চেয়ে লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় বলে বৃহস্পতিবার সূত্রে জানা গেছে।
ফ্লাইট ৬ই ২১৪২-এর এই ঘটনা, যেখানে মারাত্মক ঝাঁকুনির মুখে পড়ে বিমানটি, তা তদন্ত করছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ), জানিয়েছে সূত্র।
বুধবারের ওই ফ্লাইটে ২২০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদও ছিলেন। ফ্লাইটটি আকস্মিক শিলাবৃষ্টির মুখে পড়ে, এবং পাইলট শ্রীনগর বিমানবন্দরের এটিসিকে ‘জরুরি অবস্থা’ জানিয়ে সিগন্যাল দেন। শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে।
সূত্র জানায়, বিমানটি যখন অমৃতসরের ওপর দিয়ে উড়ছিল, তখন পাইলট তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে একটি বিকল্প পথ গ্রহণের জন্য লাহোর এটিসির অনুমতি চান। কিন্তু লাহোর এটিসি সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
ফলে বিমানটি তার পূর্বনির্ধারিত পথে চলতে থাকে এবং সেখানে মারাত্মক ঝাঁকুনির সম্মুখীন হয়।
পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য বন্ধ করে রেখেছে। একইভাবে ভারতও পাকিস্তানি উড়োজাহাজের জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানায়, “২১ মে ২০২৫ তারিখে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ৬ই ২১৪২ নম্বর ফ্লাইটটি আকস্মিক শিলাবৃষ্টির মুখে পড়ে এবং নিরাপদে শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।”
“অবতরণের পর সকল যাত্রীদের যথাযথভাবে সেবা প্রদান করা হয় এবং কারো কোনো আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজটি বর্তমানে শ্রীনগরে পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে এবং সকল অনুমোদন পাওয়ার পর এটি আবারও চালু হবে,” জানায় ইন্ডিগো।
ওই ফ্লাইটে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ছিল, যার মধ্যে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভূঁইয়া ও মমতা ঠাকুর।
সূত্র: এনডিটিভি