
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মনিরুল ইসলামকে পৈচাশিকভাবে জবাই করে হত্যার দায়ে স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৪টার দিকে তাকে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাশবাড়িয়া থেকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৬ ঘন্টার মধ্যেই এক আসামীকে গেফতার করলো পুলিশ।
বাংলা এডিশনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমি ও আমার থানার একটি চৌকশ টিম উক্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ভিকটিম মনিরুল ইসলামের স্ত্রী পাপিয়াকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে প্রযুক্তি ব্যাবহার, সাইবার টিম ও সোর্সের নজরদারি বৃদ্ধি করি।
রাতে আমি একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায়।পরবর্তীতে সাইবার ইউনিটের মাধ্যমে নিশ্চিত হই হত্যাকারী আলমডাঙ্গার বাশবাড়িয়া অবস্থান করছে। রাতেই সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী পাপিয়া তার স্বামী মনিরুলকে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ছেলে রাজু কোথায় আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রাজুকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে একটি সুত্র বলছে, মনিরুল-পাপিয়া দম্পতির ছেলে রাজু সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার জন্য বাবার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চান। তবে মনিরুল সে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে করে পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয়। সেই কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হত্যার শিকার হন মনিরুল ইসলাম। ঘটনার পর থকে পলাতক ছিলেন স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ও ছেলে রাজু।











