
নিজস্ব প্রতিবেদক: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও ৮০ হাজার টাকা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই শিক্ষক নিজ খরচে সরকারি খাল উদ্ধার করলেও খরচের অর্থ পরিশোধ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী লিয়াকত হোসেন সরকারি জাজিরা মোহর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)। তিনি জয়নগর ইউনিয়নের উত্তর কেবলনগর কাজী কান্দি চটান জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, লিয়াকত হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তি তার চাচাতো ভাই রাজ্জাক বেপারী গং দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসানকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ভূমি কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেনকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তিনি ৮০ হাজার টাকা নেন। একই সঙ্গে ওই কর্মকর্তার পরামর্শে শিক্ষক লিয়াকত নিজ খরচে সরকারি খাল উদ্ধার করেন। কিন্তু খাল উদ্ধার শেষে প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত দেননি এবং জমির দখলও বুঝিয়ে দেননি ভূমি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
অভিযোগকারী শিক্ষক বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমার চাচাতো ভাই আমার পৈত্রিক জমি দখল করে রেখেছে। জেলা প্রশাসকের দফতরে আবেদন করার পরও ভূমি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এক লাখ টাকা দাবি করে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। খাল উদ্ধারে খরচের অর্থও ফেরত দেননি।’’
টাকা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন নাসির মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘লিয়াকত মাস্টারের জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে এসিল্যান্ড টাকা নিয়েছেন। আমার হাত দিয়ে একবার ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়, পরে আরও দুই দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এসব ভিত্তিহীন কথা। প্রমাণ করতে না পারলে তার জবাব আছে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’’
ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’