
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি বাসায় টিউশনিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সভাপতি জোবায়েদ হোসাইন খুনের ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হয়নি মামলা। মামলা নেওয়ার অপেক্ষায় পুরো রাত থানার ভেতরে কাটিয়ে দিয়েছেন তার স্বজনরা।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সোমবার সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খুন হবার ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
বাদীপক্ষ জানায়, মামলায় কতজনের নাম এবং কার কার নামে করা হবে এ বিষয়ে পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে।
মামলা প্রস্তুতির কাজ চলছে।
নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজন যুক্ত। সবার নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে, মামলা হয়ে যাবে।,
প্রথমে তিনজনের নামে আসামি করে মামলা দেওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তী সময়ে আসামি বাড়ানোর ফলে এ বিলম্ব হচ্ছে।,
জানা যায়, এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে উপস্থিত রয়েছেন নিহতের বাবা, তিন চাচাসহ দুই পরিবারের সদস্যরা। তবে গত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নিহতের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিলেও থানায় ওসি না থাকায় দেরি হয়।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কয়েকজনের নামে মামলা দিতে চায় নেব, তবে তাদের বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।
এর আগে, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেন। রবিবার রাতে ওই ছাত্রী বারজিস শাবনাম বর্ষাকে হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। রাত ১১টার দিকে আরমানিটোলার নূরবক্স রোডের বাসা থেকে বর্ষাকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।
তার আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে জোবায়েদ হোসাইনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
গত এক বছর ধরে জোবায়েদ আরমানিটোলার রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষাকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। রবিবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বর্ষাদের বাসার তিন তলায় খুন হন জুবায়েদ। সিঁড়িতে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।,