
জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় এক বছর পর এক মৃত ব্যক্তি ও ১০ শিক্ষকসহ ২৫৭ জনের নামে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) তাড়াশ থানায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১২০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খালকুলা এলাকায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় হামলার শিকার হয় বাদী শাহিন বাবু।
বুধবার (২৩) জুলাই সকালে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এর মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তি ও ১০ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। এরা হলেন, এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মনিরুজ্জামান, কাউরাইল ইসহাক-তফের আলী টেকনিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মো. আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আবু হাসেম খোকন, মঙ্গল বাড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামাল নান্নু, কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ূবুর রহমান, ধুলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, মাটিয়ামালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আনিছ ও করতকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদ। এছাড়াও মামলায় (৫৫) নম্বর আসামি করা হয়েছে রোকন ফারুকী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে।
এ বিষয়ে এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামলার বাদী নওগাঁ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পর থেকে আমাদের উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে আমাদেরকে হয়রানী ও বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য এই মামলাটি করেছে।’
মামলার বাদী নওগাঁ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু বলেন, ‘মামলায় যাদের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তাদের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয়েছে। আমি এখনো অসুস্থ্য রয়েছি।’
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস বলেন, যদি কোন সাধারণ জনগণ বা কোন শিক্ষককে হয়রানি করার জন্য মামলায় নাম দিয়ে থাকে, এবং সেটা যদি প্রমানিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।