
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক)– দুই শীর্ষ পদই গেছে তাদের দখলে। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
ভিপি পদে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর ইব্রাহিম হোসেন রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ ভোট।
জিএস পদে একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে জানা যায়।
চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১৫ জন প্রার্থী। হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন আরও ৪৯৩ জন।
দিনভর ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার রাত একটার পর দুটি হলে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর, রাত ৩টা ১৫ মিনিটে তিনি মুক্ত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ওই রাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন, তবে কোনো সংঘর্ষের খবর মেলেনি। রাত একটার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।