
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচিত দুই ভাই গুমের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের তিন নেতার জামিন শুনানির পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রদল কর্মীদের ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেতাউর রহমানসহ চারজনকে মারধর করে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওদুদ জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ গুমের মামলায় জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আসামীদের উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন। হাজতখানা থেকে আসামীদের বের করা হলে ছাত্রদল কর্মীরা তাদের দিকে ডিম ছোড়েন। এ সময় পুলিশ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে সেতাউর রহমানসহ ৫-৬ জনকে টেনেহিঁচড়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের লাথি-ঘুষি মারার পাশাপাশি গালাগালি করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আসামীদের দিকে ডিম ও ইট-পাটকেল ছোড়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হই আমরা।” তবে ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেতাউর রহমান এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা পচা ডিম ও আলু নিক্ষেপ করলেও পুলিশ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম নামে দুই ভাইকে গুম করা হয়। তাদের বৃদ্ধ বাবা আইনাল হক ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।