
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে চাঁদা না দেওয়ায় এক হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা জয়দেব চৌধুরী মাধবের বিরুদ্ধে। এরপর চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে নগরের জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ করেন অর্ধশতাধিক হকার।
গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ধাওয়া দেন বিক্ষুব্ধ হকাররা।
সিলেটের হকার্স ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন রুবেল অভিযোগ করে গতকাল রাতে বলেন, ‘সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাধব একজন সন্ত্রাসী। কয়েক দিন থেকে আমাদের নিরীহ হকারদের ধরে ধরে আনে আর দুই-তিন লাখ টাকা চাঁদা চায়। তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার আপসের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার দাবি, তাকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হবে এক লাখ টাকা করে। আজও আমাদের এক মুরব্বিকে নিয়ে গেছে। তাকে এখন এখানে এনে দিতে হবে। এই মাধবকে এখন গ্রেপ্তার করতে হবে। এমনকি বিএনপি থেকে মাধবকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত মাধবকে বহিষ্কার করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। মাধবের বহিষ্কার চাই, মাধবের গ্রেপ্তার চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
রাত সোয়া ৯টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতাকে বহিষ্কারের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এমদাদ হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। মাধবকে ইতিমধ্যে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর যাঁকে অপহরণ করা হয়েছে, তাকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত জয়দেব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মো. জিয়াউল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দেওয়া হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুবদল নেতা বহিষ্কার
অভিযুক্ত জয়দেব সিলেট মহানগর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক। এদিকে চাঁদাবাজির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে দল থেকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’