
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ও স্থাপনা ইজারা দেওয়া বন্ধে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী টোল সড়ক এক ঘণ্টা বন্ধ রেখেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে নগরীর বড়পোল ও ইছহাক ডিপোসংলগ্ন বন্দরের টোলপ্লাজার সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন স্কপভুক্ত শ্রমিক সংগঠন, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।
সেখানে অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। এছাড়া নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সীম্যান্স হোস্টেলের সামনে মিছিল করেন পরিবহণ শ্রমিকরা। প্রায় দেড়ঘণ্টা টোল রোড অচল থাকার পর পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশপথে অবরোধের পর কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর সারা দেশে মশাল মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে স্কপ। চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি তপন দত্ত।
সরেজমিন দেখা যায়, অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত টোল সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় বন্দর থেকে আমদানি পণ্যবোঝাই গাড়ি এবং বিভিন্ন ডিপো থেকে আসা রপ্তানি পণ্য বোঝাই গাড়ি সড়কে আটকা পড়ে।,
নগরীর এছহাক ডিপোসংলগ্ন টোলপ্লাজার অদূরে শতাধিক শ্রমিক সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের আশ্বাসে এক ঘণ্টা পর বেরা সোয়া ১১টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। বড়পোলের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মী অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান।
বড়পোলের সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে স্কপ নেতা তপন দত্ত বলেন, ‘বন্দরকে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে এবং শ্রমিকদের জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত আসবে। তাই দেশ বাঁচাতে এবং শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশ রক্ষা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় স্কপ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। ’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, বন্দর ইজারা মানে দেশের অর্থনীতিকে বিদেশি স্বার্থের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ জনগণের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে।,
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহআলম, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বাসদ চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ আল কাদেরী জয় এবং গণমুক্তি ইউনিয়নের রাজা মিয়া।











