নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের শেড ও ইয়ার্ডে বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে বিপজ্জনক রাসায়নিক ও তেজস্ক্রিয় পদার্থভর্তি তিন শতাধিক কনটেইনার। এর মধ্যে ১৩টিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয়েছে এবং বাকি প্রায় ৩৫০টিতে দাহ্য ও বিস্ফোরকজাতীয় কেমিক্যাল রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে খালাস বা ধ্বংস না করায় এগুলো এখন বন্দরের জন্য বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
২০২২ সালের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর কিছু কনটেইনার ধ্বংস বা নিলামে বিক্রি করা হলেও জটিলতার কারণে বহু বিপজ্জনক পণ্য থেকে যায়। বছর বছর নতুন কনটেইনার যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বিপজ্জনক এসব কনটেইনারের বেশিরভাগই ১০–১৫ বছরের পুরোনো। এতে রয়েছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, মিথানল, থিনার, সোডিয়াম সালফেট, ক্যালসিয়াম অক্সাইড, ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেক্সটাইল কাঁচামালসহ দাহ্য ও বিস্ফোরক পণ্য।
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আসা একটি স্ক্র্যাপবাহী কনটেইনারে রেডিওনিউক্লাইড আইসোটোপ—থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ ও ইরিডিয়াম-১৯২ শনাক্ত হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেশি না হলেও কনটেইনারটি আলাদা করে রাখা হয়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিপজ্জনক রাসায়নিক খালাসে কাস্টমসকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, সম্প্রতি ৪২টি পুরোনো কনটেইনার খালি করা হয়েছে, আরও ৫০টি খালি করার প্রক্রিয়ায় আছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান জানান, তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হওয়া কনটেইনারগুলো পরমাণু শক্তি কমিশনের গাইডলাইন মেনে সরানো হবে। বিজ্ঞানীরা সরেজমিন পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.