ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। তারপরও মাঝেমধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কথা বলেন, ফিরতে চান রাজনীতিতে। কিছু আবেগী নেতাকর্মীও হয়তো সেই হাওয়ায় গা ভাসান।
তবে বাস্তবতার নিরিখে পতিত হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? সেটি কি ‘আবার আসিবো ফিরে’ নাকি ‘গেল চিরতরে’? তা তো সময়ই বলে দিবে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন, নাটকীয়তায়ই যখন রাজনীতির নামান্তর, তখন শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ হয়ে উঠেছে এক রাজনৈতিক থ্রিলারের কেন্দ্রবিন্দু।
দীর্ঘদিন শাসন করার পর হঠাৎ করেই দৃশ্যপট থেকে উধাও শেখ হাসিনা। এখন হাসিনা মানেই দেশে গুজবের হাওয়া, মিম কন্টেন্টের ঝড় এবং ফেসবুক লাইভে বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা এখন ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশে হাসিনার সাজানো গোছানো বাগান তছনছ হয়ে গেছে, এখন মোদিদের নিয়োগ দেওয়া কেয়ারটেকার বাংলাদেশে আর কেউ নেই।'
এদিকে হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার সব রকম নীলনকশার ছক কষা শেষ দিল্লির। আট মাসেরও বেশি সময় হয়েছে হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার। এরপর অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে, অসংখ্য হত্যা মামলা রুজু হয়েছে, মাটির সঙ্গে মিশে গেছে হাসিনার দাম্ভিকতা, ৩২ নম্বর।
পতিত আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থেকেও নেই, দলের পক্ষে কথা বলার সব গা ঢাকা দেওয়া। কোথায় যে হারিয়ে গেল এ নিয়ে রীতিমত গবেষণা চলছে। নেতাকর্মীদের হাসিনা এই বলে আশ্বস্ত করতেন, আমি দ্রুত আসছি, ভয় পেয়ো না। সব ঠিক হয়ে যাবে। শুরুর দিকে এসব কথাবার্তা অনেকেই আমলে নিতেন, উৎসাহিত বোধ করতেন। এখন এসব গায়ে মাখেন না কেউ। পরিস্থিতি শেখ হাসিনার জন্য কোনো অবস্থাতেই অনুকূলে নেই। একদিকে মামলা-মোকদ্দমা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ তাকে আরও কোণঠাসা করেছে।
পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও জটিল করে তুলেছে। তিনি আসলে কারো কাছে নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি নন, এমনকি পরিবারের কাছেও। রাজনৈতিক পন্ডিতরা বলছেন, শেখ হাসিনার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় চ্যালেঞ্জের মুখে। এখন প্রশ্ন, পলাতক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? পুরনো কার্ড খেলবেন নাকি নতুন মোড় আসবে? নাকি একেবারেই ‘গেম ওভার’?