
ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রবাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া সাথে রয়েছে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি। আর এতে বিভিন্ন জেলায় ভেঙ্গে পড়ছে ঘরবাড়ি ও গাছপালা। কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি।
রোববার (২৬ মে) থেকে সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম বরিশালে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য মতে, ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে প্রচণ্ড বাতাসে ঘর ভেঙে দেয়ালচাপায় মনেজা খাতুন (৫৪) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সী শওকাত মোড়লের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া দেয়াল ধসে বরিশালে ২ জন চট্টগ্রামে ১ জন ও জলোচ্ছ্বাসে পটুয়াখালীতে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়া অফিস বলছে, দুর্যোগের আগেই সঠিক পূর্বাভাস এবং মানুষের সচেতনতায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও তেমন প্রভাব পড়েনি।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে খুলনার কয়রার নিকট অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ‘ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।’