
বেনাপোল পোর্টথানাধীন নারায়নপুর গ্রামের আবুল হোসেনের কন্যা মামলার বাদী অসহায় আসিরন খাতুন জানান, আমার মেয়ে খাদিজার মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই রহস্য থাকলেও আমার অসহায়ত্ব ও অঙ্গতার সুযোগ নিয়ে মেয়ের শশুরালয়ের প্রভাবশালী লোকজন নানা ভাবে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও বিচার বন্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে আসছে।
নিহতের মা আছিরন খাতুন মেয়ের আত্নহত্যার ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবিতে যশোরের বিজ্ঞ সিনিঃজুডিঃ ম্যাজিঃ ও আমলী আদালতে গত ৪-৯-২০২২ ইং তারিখে নিজে বাদী হয়ে এ মামলা দ্বায়ের করেন। যাহার মামলা নং- সি আর ৫২২।
বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিপূর্বেও আমার মেয়ে শশুরালয়ের লোকজনের হাতে মারধরের স্বীকার হলে বিগত ২১ সালের নভেম্বর মাসে আমি ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দেই।
ঝিকরগাছা থানার দারোগা মাসুদ বিষয়টি তদন্তকরে শশুরালয় কর্তৃক নির্যাতন করবে না মর্মে মোচলোকা নিয়ে মেয়েকে স্বামীগৃহে পাঠান।
একমাত্র মেয়ে হারানোর শোকে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা দ্ররিদ্র ও মূর্খ হওয়ায় মেয়ের মৃত্যু পরবর্তী সকল কার্যক্রমে তার শশুরালয় কর্তৃক প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠা চলছে।
প্রথম থেকে আমি মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবী জানালেও ঝিকরগাছা থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছে।মৃত্যুর ৩মাসের ও বেশী সময় পার হলেও আমি এখনো পর্যন্ত মৃত্যু রহস্য জানতে পারিনি।নিরুপায় হয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
বাদীর অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে সরেজমিনে গেলে প্রতিবেশীরা জানান,আনুমানিক ৪ বছর ধরে গড়ে ওঠে খাদিজা ও মনিরুলের সংসার।মনিরুল পেশায় গাড়ী চালক। দাম্পত্য জীবনে তাদের কলহ চলছিলো। খাদিজার আত্নহত্যার দিন তার স্বামী ঢাকায় ছিলো। ঐ দিন সকালে সৎ শাশুড়ী মাজেদা ও ননদের সাথে খাদিজার ঝগড়া হয়।