নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, সোমবার, ৫মে, ২০২৫: জনপ্রিয় বাউল গানের কলি ফেসবুকে পোস্ট করায় সাংবাদিক যখন জেলে! হায় কি বিচিত্র এ বাংলাদেশ! জানা গেল, শনিবার ৩ মে (গণমাধ্যম দিবসের) রাতে বগুড়ার সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ ফকির কে তার বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এসপি অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া সদর থানায় আনা হয়। কোন বাদী না পাওয়ায় এতক্ষণে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওয়াহেবের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি বলে প্রকাশিত দৈনিক মানবজমিনের খবর সূত্রে জানা যায়।
২০২৩ সালে বাউল আনোয়ার সরকারের গাওয়া ২২ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের এ পালা গানের দুই একটি কলি তার ফেসবুকে পোস্ট করে গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে। গানটি পাবলিস্ট করেছে রেনু মিডিয়া বিডি এবং পরিচালনা করেছেন শাহ ইউসুফ আলী।
আমাদের প্রশ্নটা হচ্ছে, গানটি যদি কোন ধর্ম, বর্ণ, বা সমাজবিরোধী হয়ে থাকে তবে যারা গানটি লিখেছেন, গেয়েছেন এবং সুর করেছেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যন্ত্র কেনো কিছুই করতে পারল না!? সব দোষ তবে কি সাংবাদিকের? গানটি গাওয়ার দুই বছর পরে ফেসবুকে ২ এক লাইন পোস্ট দিয়ে সাংবাদিক কেন জেলে যাবে??
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বগুড়ার সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকির কে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে । দেশে এ ধরনের সাজানো ঘটনা অব্যাহত নির্যাতন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। সাংবাদিকদের সাথে এসব বৈষম্য, নজিরবিহীন আক্রমণ এবং নোংরামি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
আগামী ৭ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যম সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রোহিত জানিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকিরকে মুক্তি না দিলে রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।
"তুলসী গাছে কুকুর কেন প্রসাব করে" এই গানটি ফেসবুক ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শত শত মানুষ গেয়েছেন, শেয়ার করেছেন। অথচ পুলিশের কালো চশমায় তাদের কাউকে চোখে পড়লো না, ওই চশমায় শুধু কি সাংবাদিকদেরকেই দেখেন?