আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের অবরোধ ও আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ থাকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছে গাজা উপত্যকা। মানবিক সহায়তার পথ বন্ধ থাকায় শিশু খাদ্য ফুরিয়ে গেছে, নবজাতক ও শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. আহমদ আল-ফাররা ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, তাদের কাছে মাত্র এক সপ্তাহের মতো ফর্মুলা মিল্ক (শিশুখাদ্য) মজুত রয়েছে। অকালে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ খাবার ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, "ভয়াবহ এই পরিস্থিতি ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। ভর্তি শিশুদের বাইরেও হাজারো শিশু খাদ্যবঞ্চিত।"
অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে এক চিকিৎসক বলেন, “শিশুরা এখন শুধু চামড়া ও হাড়ের কাঠামোতে রূপ নিয়েছে। তারা ধুঁকছে মৃত্যুর প্রহর গুনে।”
২৭ বছর বয়সী পাঁচ সন্তানের জননী হানাআ আল-তাওয়িল, যিনি নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত, জানান তিনি নিজেও খাদ্য সংকটে ভুগছেন। ফলে সন্তানকে বুকের দুধও দিতে পারছেন না। ১৩ মাস বয়সী সন্তানের জন্য শিশুখাদ্য সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
গাজায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই আশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মারা গেছে অন্তত ৬৬ শিশু।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল খাদ্য ও মানবিক সহায়তা আটকে দিয়ে ক্ষুধাকে ‘যুদ্ধের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে। সংস্থাটির ভাষ্য, এটি গণহত্যার একটি পদ্ধতিগত কৌশল।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.