
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবার ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসময় ৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ৮৩ জন। এর আগেও খাবারের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের গুলি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
দক্ষিণ রাফা শহরে জাতিসংঘের একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে বোমা হামলার কয়েক ঘন্টা পরেই এ ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচজন বোমা হামলায় নিহত হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েলকে মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা স্থল আক্রমণ শুরু করার আগে রাফায় আটকে পড়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত ‘মানবিক দ্বীপে’ স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে সংঘাত চলমান। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ২৭২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ২৪ জন।’
রমজানের মধ্যেও গাজায় প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় অব্যাহত বোমা হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অভিযান পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। এতে হতাহতের পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতারও করা হচ্ছে।’
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অথবা জিম্মি মুক্তির ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি নেই। কয়েক মাস ধরে চলা এই সংঘাতে গাজায় তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে সেখানে খাবার-পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।’
যখনই কোনো ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করছে অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিরা হুমরি খেয়ে পড়ছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতেও হামলা বন্ধ করছে না ইসরায়েল। বরং খাবারের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদেরও নির্বিচারে গুলি করে মারা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।’