অনলাইন ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় মৃত্যু, ধ্বংস ও দুর্ভিক্ষের করুণ বাস্তবতায়ও নিজেদের ভূমি ছাড়তে নারাজ ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজাবাসী।
৪৫ বছর বয়সী মানসুর আবু আল-খায়ের, যিনি একজন টেকনিশিয়ান, বলেন—“এটি আমাদের ভূমি। আমরা এটি কাকে দিয়ে যাব? কোথায় যাব?” তিনি জানান, চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর শোকাবহ দৃশ্য থাকলেও নিজেদের মাটি ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।
গাজার ২৭ বছর বয়সী যুবক সাইদ বলেন, “ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু বাস্তুচ্যুতির ধারণা আবারও উত্থাপন করায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আমাদের ইচ্ছায় বিদেশ ভ্রমণ করতে চাই, বাস্তুচ্যুত হতে নয়।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে প্রতিবেশী কিছু দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘চারপাশের দেশগুলো থেকে দারুণ সহযোগিতা’ পাওয়া যাচ্ছে এবং এতে ‘ভালো কিছু হবে’।
এ পরিকল্পনার সমালোচনায় সরব আন্তর্জাতিক মহলও। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, গাজা তাঁদের ঐতিহাসিক বসতি—যা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু প্রজন্মের আশ্রয়স্থল। বাস্তুচ্যুতি নয়, তাঁরাই এই ভূমির প্রকৃত মালিক।
সূত্র: রয়টার্স।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.