
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে পকেটমারির অভিযোগে ধরা পড়েছেন এক ইউপি সদস্য। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর গরুর হাটে।
জানা গেছে, বুধবার (৪ জুন) দুপুরে হাটের ভিড়ে এক ব্যক্তির পকেট কাটার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কোরবান আলী। উপস্থিত লোকজন জানান, পকেট কাটার সময় স্থানীয়রা তাকে শনাক্ত করে আটক করে। এরপর উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয়।
পরে আত্মরক্ষায় কোরবান আলী পাশের একটি পুকুরে লাফিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রায় ১০ মিনিট পর স্থানীয়রা তাকে আবার ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কোরবান আলীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, মাদক এবং অস্ত্র আইনে অন্তত ২৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
এ বিষয়ে বড়হর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, “চুরির ঘটনা শুনেছি, তবে হাটের ভিড়ে সরাসরি কিছু দেখতে পারিনি।”
বড়হর হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন জানান, “ঘটনার সময় আমি হাটে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ছিলাম। তাই কিছু জানি না।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কোরবান আলী সাংবাদিকদের বলেন, “হাটের বাইরে জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাকে মারধর করেছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্যগুলো ভুয়া। আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে।”
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত। এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক।”