
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলার চরফ্যাসনে গভীর রাতে এক নারীর ঘরে ঢুকে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন শশীভূষণ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মিজান মুনসী। শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চরকলমী ইউনিয়নের বকসীবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গণধোলাইয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা উপজেলাজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতারা তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, মিজান মুনসী তার বাড়িতে বারবার আসতেন এবং বিভিন্ন সময় অশ্লীল প্রস্তাব দিতেন। শুক্রবার বিকেলে মিজান তার বাড়িতে এসে ভয় দেখিয়ে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন এবং বলেন, রাতে ১১টার দিকে আবার আসবেন। রাত গভীর হলে মিজান ঘরের পেছনের জানালা ঠকঠক করে ধাক্কা দিতে থাকেন এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আতঙ্কিত হয়ে তিনি তাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেন। কিন্তু তিনি অশোভন আচরণ করলে চোর এসেছে বলে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের সাহায্য চান। প্রতিবেশীরা এসে মিজানকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে মিজানকে উদ্ধার করতে তার সহযোগীরা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পর মিজান মুনসীকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান, ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চরকলমী ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বেপারী বলেন, ‘আমি শুনেছি, মিজান মুনসীকে রাতে আটক করে মারধর করা হয়েছে, আমি তাকে ফোন করেছি, কিন্তু তার ফোন বন্ধ। বাসায়ও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. সোহাগ দাবি করেছেন, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক মিজানের ওপর হামলা চালিয়েছে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’ তারিক হাসান রাসেল জানিয়েছেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি, তবে ভুক্তভোগী নারী এখনো কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’