
নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় একই দিনে নিখোঁজ হয় দুই শিশু। এর মধ্যে মুক্তিপণ আদায় ব্যর্থ হওয়ায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় অপহরণকারীরা। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অপর শিশু, ৫ বছর বয়সী আইমান সাদাব।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাঁখচূড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত শিশুটির মরদেহ। নিহত সিফাত হাসান স্থানীয় চরশাঁখচূড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সৌদি প্রবাসী নূর ইসলামের ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিফাত বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। বিকেলে পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণের দাবি জানানো হয়। প্রবাসী বাবা নূর ইসলাম তার ভাগ্নে জিসানকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেন। জিসান তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে (০১৭৬৫-০৪৪১৫) ২ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু তারপরও অপহরণকারীরা সিফাতকে হত্যা করে।
একই সময়ে পাশের দিঘীরপাড় গ্রামের ৫ বছর বয়সী আইমান সাদাব নিখোঁজ হয়। সে সৌদি প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে। পরিবার জানায়, হালখাতা উপলক্ষে বাজানো মাইক শুনে বাড়ির পাশে দোকানের দিকে গেলে সাদাব আর ফিরে আসেনি।
সাদাবের নানার বাড়িতে থাকত সে ও তার মা। শিশুটির নানা সুলতান মিয়া জানান, “আমার নাতি কোথায় গেল, কে বা কারা তাকে তুলে নিল—কিছুই বুঝতে পারছি না। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।”
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, “নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ আইমান সাদাবকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে অভিযান চালানো হচ্ছে।