
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে মিলিত হয়।
পরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাও. ইসমাইলের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাও. জহিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজ ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার বিদায়ের প্রথম বর্ষপূর্তি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এ বিজয় এ দেশের শ্রমিক-মেহনতি মানুষ ও সাধারণ জনগণের বিজয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে গণরায় দাড়ি পাল্লার পক্ষে হোক।”
প্রধান বক্তা বলেন, “শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা, জামায়াত নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংসহ সকল অপরাধের জন্য খুনি হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। বাঁশখালীতে স্বৈরাচার আমলে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, আল্লাহ তাঁদের উত্তম প্রতিদান দেবেন। আগামীর বিজয় হবে ইসলামের বিজয়। ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাও. আরিফ উল্লাহ, উপজেলা নায়েবে আমীর মাস্টার আব্দুর রহিম ছানুবী, পৌরসভা আমীর অধ্যক্ষ আবু তাহের, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মোক্তার হোসাইন সিকদার, ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মু. আব্দুর রহিম, মাও. মহিউদ্দিন, মাও. এনামুল হক জিহাদী, অ্যাডভোকেট জি. এম. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মাও. শহিদুল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাও. জুবায়ের আহমদ, অধ্যক্ষ মাও. মোশাররফ হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাও. আজিজুল ইসলাম, মাও. সোলায়মান প্রমুখ।