নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জের খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াগাঁতী গ্রামের আমির হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মওলা দেয়াল তুলে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা নিরসনে নুর মোহাম্মাদ, জাহাঙ্গীর আলমও বনী ইয়ামীনের নেতৃত্বে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রাস্তাটি দখলমুক্ত হয়েছে। এমন উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বানিয়াগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দিনভর সম্রাট সার্ভেয়ার আশেপাশে জমি মালিকদের বুঝিয়ে দিয়ে রাস্তার জমি দখলমুক্ত করে।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, খোকশাবাড়ি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন মুনসুমী হয়ে বানিয়াগাঁতী মোড় হয়ে চন্দ্রকোনা যাওয়ার রাস্তা মাঝপথে বানিয়াগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিন মোড়ের রাস্তায় দুই শতক জমি সরকারের আওতায় থাকলেও পাশের জমির মালিক ভোগ দখল করায় রাস্তার কাজে টেন্ডার হলেও পরিপূর্নতা লাভ করেনি। ফলে মাটির রাস্তা নিচু হওয়ায় পথচারী ও যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটতো। সামন্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গন পানিতে ভরে যেত। স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী, পথচারী ও যানচলাচল দূর্ঘটনা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী।
দখলে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মওলা বলেন, আমি ও অনেক আমিন এসে জরিপ করার পর ইটের গাঁথুনি করেছিলাম। আর এস জরিপ অনুযায়ী প্রায় তিন ফুট জমি রাস্তার হওয়ায় ছেড়ে দিচ্ছি। এছাড়া এলাকার যুব সমাজ ও যান চলাচলের সুবিধার্থে অচিরেই ভেঙ্গে দিবো।
ভ্যানচালক আব্দুল মজিদ বলেন, স্বাধীনতার পর গ্রামের মধ্যে দিয়ে পাকা হয়ে মূল সড়কে খুব সহজে যাওয়া গেলেও মাত্র কয়েক ফুট জায়গা পাকা না হওয়া ও রাস্তার মধ্যে গাছ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আজ গ্রামবাসীর উদ্যোগের ফলে রাস্তাটি পাকা হলে অনেকেই এ সুফল ভোগ করবে।
উদ্যোক্তা নুর মোহাম্মাদ, জাহাঙ্গীর আলম, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী বনী ইয়ামীন বলেন, গ্রামের সকল জায়গায় রাস্তার কাজ শেষ হলেও ওই জায়গা দখলমুক্ত না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অসমাপ্ত কাজ ফেলে চলে যান। তারপরে থেকেই বৃষ্টিতে পানি জমে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয় এবং রাস্তার মাঝে মেহেগুনি গাছ থেকে রাতে অনেক যানচলাচলকারী দূর্ঘটনার শিকার হয়। চলাচলের পথ সুগম করার জন্য একাধিকবার গ্রাম্য শালিসী করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া নিজ উদ্যোগে অর্থ খরচ করেও রাস্তার সমাধান করা যায়নি। আজ গ্রামের সর্বস্তরের লোকদের নিয়ে সুন্দর একটি মিমাংসে অসমাপ্ত রাস্তাটি পূর্ণতা ফিরে পাবে। এতে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে।