
নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে অস্বস্তিকর গরমের পর টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি ঝরছে। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই বর্ষণে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর’) সকাল থেকে রংপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, অব্যাহত এই বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার রংপুর বিভাগের উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীগুলোর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, শুক্রবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ ৫১.৭৬ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার ০.৩৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। অন্যদিকে, কুড়িগ্রামের ব্রক্ষ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির প্রবাহও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
এদিকে, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি জানান, অসময়ের বন্যা ও নদী ভাঙনে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন ও সংরক্ষণ এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নের গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অধিকাংশ স্থানে দমকা হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। যদিও বৃষ্টির প্রবণতা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে, তবে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে।’