
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-আকসা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার চাপ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থায় চিকিৎসকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
শনিবার গাজার বর্তমান চিকিৎসার অবস্থা নিয়ে আল জাজিজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আহত ও বাস্তুচ্যুত আম্মার আল-গানদুর বলেন, ‘আমরা ক্রমাগত যন্ত্রণায় আছি, আর চিকিৎসক ও নার্সরা আমাদের জন্য খুব একটা কিছু করতে পারছেন না। আমাদের মনোবল ভেঙে গেছে। আমরা ক্লান্ত, অবসন্ন। এখন আমরা মৃত্যুকেই কামনা করছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়—হাসপাতালের প্রতিটি কোণ এখন উপচে পড়ছে। করিডোর ও মেঝেতে পর্যন্ত রোগীরা শুয়ে আছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন— তারা এখন এমন সংখ্যক রোগী সামাল দিতে হচ্ছে যা এই হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বহু গুণ বেশি।,
হাসপাতালের ভেতরে অস্থায়ী ওয়ার্ড হিসেবে তাঁবু বসানো হয়েছে। কিন্তু এতে সংকট প্রশমিত হয়নি; বরং চাহিদার চাপ এতটাই বেশি যে এসব তাঁবুও এখন ভেঙে পড়ার উপক্রম, জানিয়েছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি।
‘এই তাঁবুগুলোর ভেতরে চিকিৎসকদের হাতে যতটুকু সক্ষমতা আছে তা দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন। আমরা এমন রোগীদের দেখেছি যাদের গুরুতর ক্ষত, হাড় ভাঙা, এমনকি জরুরি অস্ত্রোপচার পর্যন্ত তাঁবুর নিচেই করা হচ্ছে—কারণ ভেতরে একটিও খালি বেড নেই,’ বলেছেন আরেক বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা মুহাম্মদ তুর্ক।
চিকিৎসা দলগুলো বলছে—তাদের সামনে থাকা সংকট ভয়াবহ। প্রয়োজনীয় ওষুধের মজুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর চিকিৎসকও যথেষ্ট নেই।
যেসব বাস্তুচ্যুত পরিবার নিরাপত্তার আশায় দক্ষিণে পাড়ি জমিয়েছিল, তারা এখন দেখছে—সেখানে হাসপাতালগুলোও অসহায়, নিরবচ্ছিন্ন আহত ও রোগীর ঢল সামলাতে পুরোপুরি অক্ষম।,