চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি; মালয়েশিয়ায় খুন হওয়ার ১মাস পর দেশে ফিরল ইকরামুল হকের মরদেহ। ইকরামুল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের কুমিল্লাপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
গতকাল শনিবার রাত ১১টার ফ্লাইটে ইকরামুলের মরদেহ বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। আর রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ নিজ বাড়ীতে এসে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ইকরামুলের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ভাগ্য বদলাতে দেড় বছর আগে শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়াতে যান ইকরামুল। সেখানে এক ইন্দোনেশিয়ান কনট্রাকটরের অধীনে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি।
তবে ইকরামুলের পারিশ্রমিক তাকে না দিয়ে কনট্রাকটর নিজের কাছেই রেখে দিতো। তা নিয়ে ইকরামুল এর সাথে দন্দ শুরু হয় ও কনট্রাকটরের।
অন্যান্ন দিনের মতো গত ১০ জুলাই একটি ২০ তলা নির্মানধীন ভবনের কাজ করা কালীন সময়ে ওই ইন্দোনেশিয়ান কনট্রাকটর ও তার সাথে থাকা বাংলাদেশীসহ ৭ জন ইকরামুলককে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ প্রসঙ্গে নিহত ইকরামুলের ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আমি মালয়েশিয়াতে যায়। তারপর আমি প্রকৃত ঘটনা যানতে পারি।
তিনি বিলেন, মালয়েশিয়ায় আমি অন্যান্য প্রবাসী ও সেদেশের পুলিশের সাথে কথা বলি। পুলিশ আমাকে জানান, টাকা নিয়ে দ্বন্দের জেরে ঘাতকরা আমার ভাইকে লোহা জাতীয় বস্তু দিয়ে বুকে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে।
আল আমিন আরও বলেন, আমার ভাইকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ান কনক্টের সহ ৭জনকে আটক করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। তারা জানিয়েছে সেদেশের আইন অনুযায়ী সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হবে তাদের।
এদিকে সন্তানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকে পাথর হয়ে গেছেন ইকরামুলের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্ন সদস্যরা। সন্তানের জন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করে অঝোরে কেঁদে বুক ভাষাচ্ছেন তার মা।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.