যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এবং তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে।
বুধবার (৫ মার্চ), সকালে এ অভিযোগ করেন কায়বা ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড-এর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহাজহান কবির।
ডিলার শাহাজান কবির জানান, বুধবার সকালে বাগআঁচড়া খাদ্য গুদাম থেকে চাল লোড করে কয়েকটি ট্রলি নিজের ডিলার পয়েন্টে উদ্দেশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। পথিমধ্যে ‘বকুলতলা’ পৌঁছালে শার্শা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ট্রলিটি দাঁড় করানো হয়।
পরে ড্রাইভারকে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজের গোডাউনে নামিয়ে নেন। তিনি কেন চাল নামিয়ে নিলেন সে বিষয়ে কুদ্দুসকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তাকে গালাগাল ও এবং হুমকি দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বকুলতলা কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে তার ভাই কালু ৪টি চাল বোঝায় ট্রলি আটকিয়ে রেখেছে।পরে সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে তিনি ড্রাইভারদের ট্রলি নিয়ে চলে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে কালু বলেন, আমি চালের ডিলারের কাছে টাকা পাই, তাই ট্রলিটি আটকানো হয়।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আত্মসাৎ বা লুটের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোন চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে বলে ট্রলি আটকিয়ে রেখেছিল এবং পরে ছেড়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনিছি। ওসি সাহেবকে চালগুলো উদ্ধার করার জন্য ইতোমধ্যে বলা হয়েছে।’