বাবু মির্জা: ১৭৯তম বিশ্ব অ্যানেস্থেশিয়া দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়। ১৮৪৬ সালের এই দিনে প্রথমবার অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল— “অ্যানেস্থেসিওলজি ইন হেলথ ইমারজেন্সি।”
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার আলী, অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ এবং অধ্যাপক ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আশরাফ উদ্দিন মল্লিক, হাসপাতাল প্রশাসক। সভার সভাপতিত্ব করেন অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেহানা খাতুন এবং সঞ্চালনা করেন চীফ কার্ডিয়াক অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান রাজু।
বক্তারা বলেন, সার্জারি বা অপারেশনের ক্ষেত্রে একজন সার্জনের পাশাপাশি রোগীকে নিরাপদে ঘুম পাড়ানো, ব্যথামুক্ত রাখা এবং পুরো অপারেশনকালীন সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাস, রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেন অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা। তাঁরা আইসিইউ, জরুরি সেবা ও তীব্র ব্যথা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, অনেক মানুষ এখনো অ্যানেস্থেশিয়া নিয়ে ভীত বা বিভ্রান্ত। কিন্তু আধুনিক অ্যানেস্থেশিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ ও বিজ্ঞানভিত্তিক, যদি তা প্রশিক্ষিত অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
দিবসের কর্মসূচিতে জনসচেতনতা বাড়াতে র্যালি ও তথ্যভিত্তিক প্রচারণা পরিচালনা করা হয়। বক্তারা অপারেশনের আগে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া এবং অ্যানেস্থেশিয়া সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার আহ্বান জানান।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে অ্যানেস্থেশিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আধুনিক চিকিৎসা কার্যক্রম অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়া সম্ভব নয়। রোগীর জীবন রক্ষায় অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ভূমিকা চিকিৎসা ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.