নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে বিএনপি-জামায়াত কোটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই') বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যখন কিছু শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করছে তখন ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত। কোটার আড়ালে তারা সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ হিসেবে নিয়েছে। যে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকার স্লোগান তুলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা সংবিধান ও আইন মানে না।'
এ আগে আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। তখন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়া ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ। পরে কোটা বাতিল করে সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর রুল দেন হাইকোর্ট। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে ৪ জুলাই। এসময় রিট আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন জানালে সেদিন আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন') করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গত ৯ জুলাই আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী।
দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ১০ জুলাই আপিল বিভাগে ওঠে। পরে শুনানি শেষে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। কিছু পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেয়া হয়। এই স্থিতাবস্থা চার সপ্তাহের জন্য উল্লেখ করে আপিল বিভাগ আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.