
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে কদমতলীর গোলচত্বর এলাকায় এলিগেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলীকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।,
গত ৭ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে ৮ ডিসেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশুটি পরিবারের সঙ্গে চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় বসবাস করে।
অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলী স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াত। গত ২৬ নভেম্বর শিশুটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে অসুস্থতা বোধ করলে তার মা তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। দুদিন পর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে। শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল আলম জানান, এ ঘটনায় রমজান আলীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে আমরা তাকে আটক করেছি। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে এলিগেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে গেলে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার জাহিদ গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পরেন। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।,











