
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুজন নিহতের ঘটনায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ৭০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।
নিহতরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার লুকমান হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৩) এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বাবু (৩২)।
নিহত আবদুল্লাহর পক্ষে তার বাবা লুকমান হোসেন এবং বাবুর পক্ষে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাইসুল হক মামলা দুটি করেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মামলাগুলোর কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।
জানা যায়, আবদুল্লাহ বাবার সঙ্গে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে অবস্থিত চায়ের দোকানে কাজ করত। আর বাবু স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বিকেলে তারা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এরমধ্যে বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ ৪৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা দুটিতে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ১২ এবং ১৩ নম্বর এজাহার হিসেবে মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে মামলার কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।