কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা প্রতিকুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু পরিবারের নারীকে ধর্ষণের মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে ঢাকার রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফজর আলী মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।
রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
এছাড়া ধর্ষিতার বিবস্ত্র ভিডিওধারন করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান, বাবু এবং মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী সবাই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়দাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিডিও ধারণকারী ও সরবরাহকারীদের কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আলাদা একটি মামলা দায়ের করা হবে। মূল অভিযুক্ত ফজর আলী আহত অবস্থায় থাকায় তাকে আইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার পর আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
মামলায় ঘটনার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে আগে থেকে পরিচিত ফজর আলী ২৬ জুন রাতে কৌশলে দরজা খুলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ফজর আলী চলে যাবার সময় ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে এবং মারধর করে। এ সময় কয়েকজন ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে। আহত অবস্থায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে নিয়ে তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।
পরদিন শুক্রবার ফজর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
এই ঘটনার পর একটি মহল ফজর আলীকে বিভিন্ন রাজনৈতি দলের উল্লেখ করে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন ফজরআলী আওয়ামীপন্থী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর বিএনপির বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.