
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী (৩৮) নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যিনি নিজেকে বিএনপির স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ২৫ বছর বয়সী ওই নারী। ঘটনার রাতে ফজর আলী ঘরের বাইরে এসে দরজা খুলতে বলেন। নারী রাজি না হলে তিনি জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করেন।
চাচি শ্বশ্রবতী বর্মণ বলেন, ‘পাশের বাড়িতে পূজা হচ্ছিল। শব্দ শুনে দৌড়ে যাই, লোকজন ডেকে এনে দেখি দরজা ভাঙা, ভেতরে ভাতিজিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়।’
স্থানীয় যুবক সজীব বলেন, ‘চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। ঘরে ঢুকেই ফজর আলীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরি।’
ভুক্তভোগীর চাচা নকুল বর্মণ বলেন, ‘আজ আমার ভাতিজির সঙ্গে যা হয়েছে, কাল হয়তো আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও ঘটতে পারে। আমরা আতঙ্কে আছি। দ্রুত বিচার চাই।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফজর আলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মে জড়িত। যদিও তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করেন, তবে তার আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’