
নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে হাজেরা খাতুন (৭) নামে এক শিশু কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর পালিয়েছে শিশুটির সৎমা।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরের পর কোনো একসময় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে কামারখন্দ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হাজেরা উপজেলার কুটিরচর গ্রামের হারুনার রশিদের মেয়ে ও কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
শিশুটির দাদী মনোয়ারা খাতুন জানান, প্রায় ৭ বছর আগে হাজেরার মা অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপর তার বাবা হারুনার রশিদ মুগবেলাই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে রুবি খাতুনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। রুবিরও দুটি যমজ পুত্রসন্তান রয়েছে। হাজেরা খাতুন তার সৎমা, বাবা ও দাদা-দাদীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত।
রবিবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে হাজেরাকে আর দেখা যায়নি। রুবি খাতুন ‘ওষুধ আনতে যাচ্ছি’ বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান এবং আর ফেরেননি। সন্ধ্যার পর পরিবারের লোকজন হাজেরাকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় রুবির যমজ সন্তানরা ঘরে যেতে ভয় পাচ্ছে জানালে সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে চাচা ও দাদী ঘরে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করে খাটের নিচে বালতিভর্তি বস্তার মধ্যে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘাতক সৎমা রুবির গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রবিউল ইসলাম জানান, বালতির মধ্যে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ বা মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।