জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের চৌবাড়ি গ্রামে পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা বুধবার ভোররাতে। এঘটনায় ভিকটিম তার পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করে ধর্ষকের পরিবার। নিষেধ অমান্য করে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে থানায় মামলা করতে গিয়ে মারপীটের শিকার হন ভিকটিমের স্বজনরা। আহত তিনজনকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে কামারখন্দ থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে, ধর্ষনের ঘটনায় লিখিত এজাহারে চৌবাড়ি গ্রামের টুটুল (১৮) কে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া, টুটুলের বাবা সোরহাব আলী, চাচা সরোয়ার, অপর চাচা আলম ও তার ছেলে মাহিসহ কয়েকজনকে মারপীটের আসামী করা হয়েছে।
ভিকটিম মেয়েটির মা বলেন, ‘আমরা আওয়ামীলীগের সমর্থক হলেও ধর্ষক টুটুল ও তার পরিবার বিএনপির সমর্থক। সরকার পতনের পর আমাদের প্রতি তাদের উশৃঙ্খলা ও বেহায়াপনা আচরন শুরু হয়। আমার বড় মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি সেখানে যাওয়ায় ছোট মেয়ে বাড়িতে একা ছিলো। এ সুযোগে প্রতিবেশী টুটুল বুধবার রাতে আমার বাড়িতে জোরপূর্বক অনধিকার প্রবেশ করে। এরপর আমার স্কুল পড়ুয়া ছোট মেয়েকে হত্যার হুমকী দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমরা পরদিন মামলা করতে চাইলে আমাদের এলাকা ছাড়া করার ভয়ভীতি দেখানো হয়। অবশেষে শুক্রবার সকালে মামলা করতে গেলে আমার দু’দেবর ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে টুটুল ও তার পরিবার মারপীট করে। আমাদের ঘরবাড়িও ভাংচুর করা হয়। পরে ট্রিপল-নাইনে ফোনকরে পুলিশের সহায়তা নিয়ে দুপুরে স্বশরীরে গিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।’
কামারখন্দ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘সকালে ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে ভিকটিমের মা থানায় বিকেলে অভিযোগ দেন। মামলার ঘটনাটি প্রেমঘটিত বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেলেও অপ্রাপ্ত বয়স্কা হওয়ায় মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে, অভিযুক্ত টুটুলের মোবাইল শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাবা সোহরাব আলী জানান, ‘আমরা সংখ্যায় কম থাকায় মেয়েটির পরিবার ও স্বজনরা আমাদের ঘরবাড়ি কুপিয়েছে। তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.