
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় জামে মসজিদের এসি বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে মুসল্লিদের মাঝে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুলের নির্দেশেই এসি বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ঘিরে মঙ্গলবার আছরের নামাজের পর মুসল্লিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের দাবি, গরমের তীব্রতায় এসি ছাড়া নামাজ আদায় করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাঁরা আগামীকাল (বুধবার) জোহরের নামাজের আগেই এসি চালুর দাবি জানিয়েছেন, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোহেল মাহমুদ খান নামের এক মুসল্লি বলেন, “ইউএনও বলেছেন, মসজিদে এতগুলো এসি লাগানোর প্রয়োজন নেই। এমনকি, এগুলো কে লাগিয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন। ভারতের মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে—আজ এসি বন্ধ, কাল হয়তো তালা ঝুলিয়ে দেবে।”
আরেক মুসল্লি কামরুল ইসলাম জানান, “আমরা বহু বছর ধরে এই মসজিদে নামাজ আদায় করছি। কিন্তু এতদিন কেউ কখনও এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা ইউএনওর সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, “মসজিদের ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই উপজেলা কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ইউএনও অনামিকা নজরুলের নির্দেশেই এসিগুলো বন্ধ করা হয়েছে। কবে চালু হবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও অনামিকা নজরুল বলেন, “গত তিন মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। কিন্তু মসজিদের ফান্ডে সেই বিল পরিশোধের মতো টাকা নেই। ফলে বাধ্য হয়েই এসি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
এদিকে, স্থানীয়রা মনে করছেন—অর্থ সংকট থাকলেও এভাবে হঠাৎ করে এসি বন্ধ না করে বিকল্প কোনো সমাধানের চেষ্টা করা যেত। স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা দাবি করেছেন সচেতন মহল।