ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবা ইন্তেকাল করেছেন। তার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশের জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।'
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি বলেন, শায়খ সালেহ আল শাইবা আল্লাহর জিম্মায়। তিনি ছিলেন সাহাবি উসমান ইবনে তালহা (রা.) এর ১০৯ তম বংশধর।
তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব যে বংশের উপর বহাল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ওই গোত্রেরই উত্তরাধিকারী।
তিনি আরও বলেন, আর কিয়ামত পর্যন্ত এই গোত্রের বংশধরদের হাতেই বাইতুল্লাহর চাবি উত্তরাধিকার সূত্রে সংরক্ষিত থাকবে ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।
প্রসঙ্গত, জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন।
এসময় তিনি বলে দেন, এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।
এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। কাবাঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নির্মাণ কারখানায় বানানো হয়। কাবাঘরের চাবি কখনো হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে কাবাঘরের চাবি ফেরত নেয়া হয়।
আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.