
প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১০, ২০২৫, ২:৫০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৯, ২০২৫, ৩:২৯ অপরাহ্ণ
কাজিপুরে রাজনৈতিক সহিংসতা: দোকান লুট, বাড়িতে হামলা, আতঙ্কে পরিবার

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের দক্ষিণ ছালাল গ্রামে এক সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক হামলায় দুটি দোকান লুট ও দুইটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী শামিম রেজা জানান, ঘটনার সূচনা হয় ৫ জুন। ছালাল বাজারে তাঁদের পরিবারের মালিকানাধীন কাপড়ের দোকানে এক কিশোর পেট্রোল চাইলে সাদ্দাম হোসেন নামের তাঁর ভাই ব্যস্ত থাকায় দিতে দেরি হয়। এতে ক্ষুব্ধ কিশোরটি গালাগাল করে চলে যায়।
পরদিন রাতে সুজন চাকলাদার ও রবিউলের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন যুবক মোটরসাইকেলে এসে সাদ্দামকে দোকান থেকে টেনে বের করে মারধর করে। কিছু সময়ের মধ্যেই আরও শতাধিক যুবদল-ছাত্রদলকর্মী বাজারে এসে সব দোকান জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয় এবং সাদ্দাম ও সাহালির দুটি দোকান ভাঙচুর ও লুট করে। দোকানের কাঠামো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করা হয়।
পরে তারা সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে জানালার কাচ, বৈদ্যুতিক মিটার ও পুরোনো দোকানঘরের বেড়া ভাঙচুর করে। হামলার সময় বাড়িতে কেবল দুই শিশু ভাতিজা ও ভাবি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শামিমের চাচা আনোয়ার মেম্বারের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
শামীম জানান, “আমরা ৯৯৯-এ একাধিকবার ফোন করি। ওসি আশ্বাস দিলেও স্থানীয় পুলিশ সহযোগিতা করেনি। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে টহল আসে, তবে ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।”
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—সুজন চাকলাদার, রবিউল, ময়নাল শিয়াল, রশিদ শিয়াল ও নাসিম। এদের মধ্যে সুজন ও রবিউল বিএনপির ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারাও পরোক্ষভাবে জড়িত।
“আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই, সাধারণ ব্যবসায়ী। এখন প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছি,” বলেন শামীম।
অভিযুক্তদের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাজিপুর থানার ওসি নুরে আলম বলেন, “এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.