
অনলাইন ডেস্ক: ওমান সাগরে ইরানের নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারের মুখোমুখি হওয়ার পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার (যুদ্ধজাহাজ) গতিপথ পরিবর্তন করে সরে গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) সংঘটিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বল্প সময়ের জন্য সাগরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে সেটি সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নেয়নি।
রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সির বরাতে জানা যায়, তেহরান দাবি করেছে, ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন জলসীমায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের পক্ষ থেকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়, যার প্রেক্ষিতে মার্কিন জাহাজটি সরে যায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ডিডিজি ফিটজেরাল্ড’ নামের মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি ইরানের নজরদারি এলাকায় পৌঁছালে ইরানি নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা ছাড়ার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়। পাল্টা হুমকি দিয়েও শেষপর্যন্ত সরে যেতে বাধ্য হয় মার্কিন জাহাজটি।
ইরানি সেনাবাহিনী জানায়, যুদ্ধজাহাজটি দক্ষিণ দিকে পথ পরিবর্তন করে। তবে সেটি এরপর কোন দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নৌবাহিনী ও সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পেছনে সাম্প্রতিক ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অংশ ছিল; তবে তেহরান জানিয়েছে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক। ইরানের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সম্প্রতি পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এর জবাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন।
উপসাগরীয় অঞ্চলে এমন সামরিক মুখোমুখি অবস্থান উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।