
হঠাৎ করেই রিং বেজে উঠলো। অপরিচিত নাম্বার তবে মালয়েশিয়ার নাম্বার হওয়ায় নিঃসংকোচে ফোনটা রিসিভ করলাম। ওপাশের কন্ঠ থেকে ভেসে এলো দাদু আমি মশিউর রহমান। আমি তো হতবাক। মশিউর রহমান ভাই আমাকে কল করেছেন।
হ্যা বলছিলাম মালয়েশিয়া থাকাকালীন সময়ের তথা নিকট অতীতের একটি দিনের কথা। তিনি রাতে কল করতে চাইলেন। ব্যস্ততার কারনে না পারলেও পরের দিন অনেক কথা হয়েছিলো। অনেক অনেক বিষয়ে। জানিয়ে ছিলেন আমাদের সম্বন্ধে অতীতে কিছু ভুল ধারণার বীজ বপন করে দিয়েছিলো কে বা কারা এবার এসে সেটা ক্লিয়ার হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভাইয়াকে নিয়ে আসার জন্য ইনভাইট করেছিলাম। এক বাক্যে রাজি হয়েছিলো। ভাইয়ার ফ্যামিলি সহ নিয়ে আসার সব পরিকল্পনা থাকা স্বত্বেও কিছু প্রতিবন্ধকতার কারনে তা আর হয়ে ওঠেনি। আমাদের সাথে ভাইয়াও কষ্ট পেয়েছিলেন।
ভাইয়ার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো চ্যানেল নাইনের অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়ে। সম্ভবত ২০১৭ সালে। বিশাল দেহের মানুষটার পাশে দাঁড়ালে মনে হয় যেনো পাহাড়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। মনটা মানুষটার চেয়েও বিশাল। ভালবাসতে জানেন। জানেন স্নেহ করতে।
অসংখ্যবার ফোনে কথা হয়েছে। কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি। তাছাড়া আমার অসুস্থতায় খোঁজখবর নিয়েছেন নিজ দায়িত্বে।
ভাইয়া আজ করোনা আক্রান্ত এটা মনে উঠতেই বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। ওদের ছিলো এড্রু কিশোর আর আমাদের আছে মশিউর রহমান লিটন। হাজার গানের সুর আর কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছে কয়েক দশক ধরে সুস্থ সাংস্কৃতির শ্রোতা দর্শকদের।
মহান রবের কাছে আমাদের প্রার্থনা – আল্লাহ যেনো তার গোলাম কে সুস্থ করে আমাদের মাঝে তথা হাজারো ভক্ত অনুরাগীদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। আগের মতো যেনো আবারো গাইতে পারে—-
আমার কন্ঠে এমন সুধা দাও ঢেলে দাও হে পরওয়ার
যা পিয়ে এই ঘুমন্ত জাত ভাঙে যেন রুদ্ধদ্বার।।
আল্লাহ কবুল করুন আমাদের সব ফরিয়াদ #আমীন।