নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর। আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষদিনে অংশ নেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থীর অনুসারীরা। আর দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি ছাড়াও ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।'
এর আগে শেষ পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে বাস, ট্রেন, ট্রাক, লঞ্চ-নৌকাযোগে, আবার কেউবা পায়ে হেঁটে দলে দলে ইজতেমাস্থলে ছুটে আসেন। ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শত শত নারী আশপাশের মিল-কারখানা ও বাসাবাড়ির ভেতর অপেক্ষা করছিলেন।
এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তাশকিল কামরার পাশে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী মোনাজাতে অংশ নেন।'
দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৬৫ দেশের ৯ হাজার ২৩১ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সুদান, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্দান ও যুক্তরাজ্য থেকে অনেকে অংশ নেন।
এদিকে, প্রথম পর্বের মতো এ পর্বের ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ পর্বেও অব্যাহত আছে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা।'
ইপেপার
Copyright © 2025 ThikanaTV.Press. All rights reserved.