
নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নিজেদের পছন্দের একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দিতে পারছেন না। পিএস জনপ্রশাসন থেকে দেওয়া হবে এবং সে ক্ষেত্রে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীদের কোনো পছন্দের সুযোগ নেই। পিএসদের একটি পুল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস’) পছন্দ করে নিয়োগ দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে যাকে এপিএস নিয়োগ দেওয়া হবে তার প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের জন্য পিএস নিয়োগের কাজ চলছে। আমরা বাছাই করে চৌকশ, দক্ষ কর্মকর্তাদের পিএস হিসাবে নিয়োগের জন্য কাজ করছি। বাছাই করা কর্মকর্তাদের নিয়ে পিএস পুল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আসলে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রশাসন ক্যাডারের ২৪, ২৫, ২৭ এবং ২৮ ব্যাচ থেকে বাছাই করে কর্মকর্তাদের পিএস নিয়োগ দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগ। তারা আরও জানান, ২০১৯ সাল থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা পছন্দ করে পিএস নিয়োগ দিতে পারেন না। এর আগে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা নিজস্ব প্যাডে কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধাসরকারি পত্র দিয়ে পছন্দমতো পিএস নিয়োগ দিতেন। কিন্তু ২০১৪-১৮ মেয়াদে এবং ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে পিএসদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরামর্শে ব্যাচভিত্তিক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পিএস নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার সব সদস্যের জন্য নতুন করে পিএস নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। দুয়েকজন পিএস হয়তো আরও কিছুদিন থাকতে পারেন। তবে আগের সবাইকে দ্রুত পরিবর্তন করা হবে।
অপরদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা নিজেদের পছন্দতম এপিএস নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে চাকরির যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। ২০১৯ সালের আগে মন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে পিএস হিসাবে পেতেন।
এছাড়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও) নতুন করে দেওয়া হতে পারে বলে তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া জানান, পিআরওদের পরিবর্তনের একটা কথা তিনিও শুনতে পাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, পিআরওগণ মন্ত্রীদের সঙ্গে সংযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। তারা বেতন নেন পিআইডি থেকে। তাদের পরিবর্তন নাও করা হতে পারে। দেখা যাক কী হয়।’