
ডেস্ক রিপোর্ট: নাটোরের লালপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নবগঠিত কমিটির ৩৬ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনটি পৃথক পদত্যাগপত্র ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে আলোচনার ঝড়।
ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রগুলোতে দেখা যায়, জেলা কমিটির নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোছা. মেহেন্নিকা পারভীন, উপজেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামারুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য সচিব মো. ইমরান আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. লোকমান হাকিম ও সদস্য সচিব মো. মুনসুর আলীর স্বাক্ষর পাওয়া গেছে।
তবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির আরও ২৯ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও তাদের স্বাক্ষর নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রাজু বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে চারজন নেতার পদত্যাগপত্র দেখেছি, তবে সবাই পদত্যাগ করেছেন এটা ঠিক নয়। বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা চলছে, আশা করি তারা দলে ফিরে আসবেন। তারা আমাদের সিনিয়র নেতা। তাদের নিয়েই পথ চলতে চাই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সহসভাপতি ও নাটোর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, ‘চারজনের পদত্যাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
অন্যদিকে পদত্যাগকারী নেতা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমিসহ দলের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ৩৬ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছি। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা দলে ফেরার ব্যাপারে আর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।’
নাটোর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হারুন অর রশিদ বুলবুল বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র পাইনি। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট লালপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাত্র দুই দিন পর একযোগে পদত্যাগের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।,