
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জে একই মাদ্রাসার ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছে এক অভিভাবক।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে নবাবগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলৎকার বা ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। মামলার এজাহারে ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো কয়েকজন শিশুকে বলৎকার করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।,
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ওয়াসিম। সে উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের হাজী মুকবুলের ছেলে। ঘটনার পর হতে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহার ও ভিকটিম পরিবার সূত্রে জানায়, মুসলিহুল উম্মাহ মাদানী মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ওয়াসিম মাঝে মাঝেই শিশু শিক্ষার্থীকে তাঁর শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করতো। অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে প্রথম শ্রেণির এক শিশু মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। এ বিষয়ে তাঁর মা বার বার জানতে চায়। পরে শিশুটি কান্না করে ওই শিক্ষকের অনৈতিক কাজ সম্পর্কে তাঁর মাকে বলে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে একই গ্রামের আরো ৪ জন এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তাঁদেরকেও ওই শিক্ষক বলৎকার করেছে বলে জানা যায়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গত ২০ অক্টোবর রাতে পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসাটির পাশের এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার পর হতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক শিশু শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েকজন শিশু বলে, একথা কাউকে না বলতে হুজুর নিষেধ করেছে। বললে সে মারবে।
এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বিধায় পৃথক মামলা নেয়া হয়নি।,













