
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঋণের টাকা পরিষোধ না করতে পারায় মোছা. নুরুন নাহার নামের এক নারীকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) অফিসে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে ওই নারীকে উদ্ধার করেন।
বিআরডিবি অফিসে আটকে থাকা নুরুন নাহার বলেন, অফিসের লোকজন আমাকে আটকে রেখেছে। আমি টাকা দিয়ে দেব। তারা এখনিই টাকা চাচ্ছে। টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে আটকে রেখেছে।
নুরুন নাহারের ছোট ছেলে বলেন, আমার মা এখান থেকে ঋণ নিয়েছিল। নানা কারণে মা টাকা দিতে পারেনি। আজ ১০ হাজার টাকা নিয়ে আমি আর মা এসেছিলাম। তবে তারা পুরো টাকার জন্য চাপ দেয়।
তিনি আরও বলেন, আবেদা নামের একজন আমার মাকে অফিসে তালা লাগিয়ে আটকে রাখে। আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, মাকে আটকে না রেখে আমাকে আটকে রাখার জন্য। কিন্তু তিনি শোনেনি।
এ বিষয়ে বিআরডিবির মাঠ কর্মকর্তা আবেদা খাতুন বলেন, ১৪ মাস আগে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মঋণের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ মাস আগে। তার কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে টালবাহানা করত। এ কারণে অফিস থেকে আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ তার ঋণের দায়িত্ব নিচ্ছিল না। তার জামাইয়ের কাছে ফোন করেছিলাম। তিনি ঋণের দায়িত্ব নেননি। মাত্র বড় তার ছেলের সঙ্গে কথা হলো। আমি বাজার করতে গেছিলাম। বাজার শেষে নামাজ পড়ে ওষুধ কিনে এরপর আমি এখানে আসলাম।
জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা জামিল আখতার বলেন, ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি এখানে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।